মুক্তিযুদ্ধে কুষ্টিয়া জেলা ১

মুক্তিযুদ্ধে কুষ্টিয়া জেলা ১ম পর্ব

মুক্তিযুদ্ধে কুষ্টিয়া।। ১৯৭১ সালে ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে। স্বাধীনতা যুদ্ধে কুষ্টিয়া জেলার ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। ০৩ মার্চ ১৯৭১ কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজ মাঠে প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলিত হয়। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা বৈদ্যনাথতলায় (বর্তমান মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলা) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করে। এই সরকারের নেতৃত্বেই নয় মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়।

এক নজরে

পেক্ষাপট

১৯৭০ সালের নির্বাচনের পর পূর্ব পাকিস্তানে গণবিদ্রোহের সৃষ্টি হয়। জান্তা সরকার গণবিদ্রোহ দমনে পূর্ব পাকিস্তানব্যাপী ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে। স্বাধীকার আন্দোলন স্বাধীনতা আন্দলনে রুপ নেয়। দেশের অন্যান্য স্থানের মত কুষ্টিয়াও উত্তাল হয়ে উঠে।

স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন

২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সাদে ছাত্র নেতারা স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। তার পরের দিন ৩ মার্চ কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজ মাঠে স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের জনসভায় লাল সবুজের ছয়টি তারকা খচিত একটি পতাকা উত্তোলন করেন কুষ্টিয়া জেলা স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল জলিল।

জয় বাংলা বাহিনী গঠন

৩ মার্চ কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কেলেজের জনসভায় স্বাধীন বাংলার ইশতেহার পাঠ করেন কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল হাদী। মারফত আলী, আব্দুল মোমেন, শামসুল হাদীর নেতৃত্বে গঠিত হয় জয় বাংলা বাহিনী। জয় বাংলা বাহিনীর নেতারা অসংখ্য কর্মী নিয়ে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন।

মুক্তিযুদ্ধে কুষ্টিয়া জেলা ১ম পর্ব

যুদ্ধের প্রস্তুতি

২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবস বর্জন করে বাংলাদেশ দিবসের ঘোষণার উদ্দেশ্যে কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজ মাঠে জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট আহসান উল্লাহ এমপিএ’র সভাপতিত্বে হাজার হাজার মানুষের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সমাবেশে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউর রহমান মন্টু পূণরায় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। অ্যাডভোকেট শামসুল আলম দুদু বক্তব্যে বলেন ‘আজ থেকে এই পতাকাইবাংলাদেশের পতাকা।

একই দিন কুষ্টিয়া হাইস্কুল মাঠে স্বাধীনতার সংগ্রামে উজ্জীবিত লাখ লাখ জনতার সামনে পুনরায় স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য (এমপিএ) গোলাম কিবরিয়া ও আব্দুল রউফ চৌধুরী। জয়বাংলা বাহিনী তাদেরকে অভিবাদন জানান।

অপারেশন সার্চ লাইট ও কুষ্টিয়াতে কারফিউ জারি

কুখ্যাত ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ পরিকল্পনার অংশ হিসাবে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মেজর শোয়েবের অধিনায়কত্বে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ২৭ বেলুচ রিজিমেন্ট কোম্পানির ২১৬ জন সৈনিক যশোর সেনানিবাস থেকে কুষ্টিয়ায় আসে। ক্যাপ্টেন শাকিল, ক্যাপ্টেন সামাদ ও লে. আতাউল্লাহ এই বাহিনীর উপ-অধিনায়ক ছিলেন। তারা প্রথমে পুলিশ লাইন আক্রমন করে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের নিরস্ত্র করে ও পুলিশ লাইন দখল নেয়। ডিউটিরত বাঙ্গালী পুলিশের একটি দল অস্ত্র নিয়ে পালিয়ে নদী পার হয়ে আশেপাশের বিভিন্ন গ্রামে আশ্রয় নেয়।

এরপর পাকবাহিনী কয়েক খন্ডে বিভক্ত হয়ে জিলা স্কুল, টেলিগ্রাফ অফিস, সদর থানা ও আড়ুয়াপাড়া ওয়্যারলেস অফিস দখলে নিয়ে অবস্থান নেয়।

পাকবাহিনীর ব্যাপক যুদ্ধ সরঞ্জামে সজ্জিত হয়ে আসে। তাদের সাথে ছিল ১০৬ এমএম জীপ আরোহিত রিকায়েলেস রাইফেল, ভারী ও হালকা চাইনিজ রাইফেল, স্বয়ংক্রিয় রাইফেল, শক্তিশালী বেতার যন্ত্র ও প্রচুর গোলাবারুদ।

মুক্তিযুদ্ধে কুষ্টিয়া জেলা

অবস্থান নেওয়ার পর পাকসেনারা সকল টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে দেয়। ২৬ মার্চএকনাগাড়ে ৩০ ঘন্টার জন্য কারফিউ জারী করে। শহরে সশস্ত্র টহল দিতে থাকে পাকসেনারা। কুষ্টিয়ার মুক্তিকামী জনতা কারফিউ ভেঙ্গে রাস্তায় নেমে আসে এবং পাকসেনাদের নির্বিঘ্ন চলাচলে বাঁধা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে রাস্তায় ব্যারিকেডসহ নানাভাবে প্রতিবাদ জানাতে থাকে।

মুক্তিযুদ্ধে কুষ্টিয়া জেলা ১ম পর্ব

মুক্তিযুদ্ধে কুষ্টিয়াতে প্রথম শহীদ রনি রহমান

৭ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনী নারকীয় হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে তাদের উপর পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের জন্য কুষ্টিয়া কলেজের ছাত্র রনি রহমান এনএস রোডের সিভিল সার্জন অফিসের ছাদে অবস্থান নেন। সকাল সাড়ে দশটার দিকে পশ্চিম দিক হতে পাক বাহিনীর গাড়ি এনএস রোড দিয়ে এগিয়ে আসতে থাকে। হঠাৎ মিউনিসপ্যালিটি মার্কেটের ছাদ থেকে ১০/১২ বছরের এক ছেলে গাড়ী বহর লক্ষ করে ঢিল ছুঁড়ে পালিয়ে যায়।

কয়েকজন সৈনিক ভবনটির ছাদে উঠে ঠিল নিক্ষেপকারীকে খুঁজতে গেলে তারা বোমা নিক্ষেপে উদ্যত রনি রহমানকে দেখে ফেলে এবং তাকে উদ্দেশ্য করে গুলি ছোড়ে। একটি গুলি রনি রহমানের মাথায় বিদ্ধ হলে তিনি ঘটনাস্থলেই শহীদ হন।

প্রতিরোধের শিদ্ধান্ত

পাক হানাদার বাহিনীর অত্যাচার ও গণহত্যার বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া জনপদের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের জন্য সর্বাত্নক প্রস্তুতি গ্রহণ করতে থাকে। তৎকালীন এমএনএ আজিজুর রহমান আক্কাস, ব্যারিস্টার এম আমিরুল ইসলাম, ব্যারিস্টার বাদল রশিদ, সহিউদ্দিন আহম্মেদ, আব্দুর রউফ চৌধুরি (এমপিএ), গোলাম কিরিয়া, ইউনিস আলী, নুরুল হক, জহিরুল হক রাজা মিয়া, আহসানুজ্জামান, খন্দকার শামসুল আলম দুদু, নূর আলম জিকু, রশিদুজ্জামান দুদু, এম এ বারী, অধ্যাপক নুরুজ্জামান, আনোয়ার আলী, আব্দুল মোমেন, শামসুল হাদী প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ কুষ্টিয়া পাক আর্মির অবস্থান, সৈন্য সংখ্যা, অস্ত্রশস্ত্র সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে সম্ভব্য আক্রমণের একটি নকশা তৈরী করে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও দৌলতপুর ইপিআরদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

আব্দুর রউফ চৌধুরীর নেতৃত্বে তৎকালীন আওয়ামীলীগ নেতা মঙ্গল মিয়া সহ আরও কয়েকজন সেনা সংগ্রহের দায়িত্বে থাকেন। চুয়াডাঙ্গা ইপিআর সেক্টর কমান্ডার মেজর আবু ওসমান চৌধুরী ও ক্যাপ্টেন আযম চৌধুরী কুষ্টিয়ার নেতৃবৃন্দের নকসার উপর ভিত্তিকরে ২৮ মার্চ রাতে কুষ্টিয়া আক্রমণের পরিকল্পনা করে।

মুক্তিযুদ্ধে কুষ্টিয়া জেলা ১ম পর্ব

কুষ্টিয়া জেলায় প্রথম যুদ্ধ

কুষ্টিয়া জেলা স্কুল, পুলিশ লাইন ও আড়ুয়াপাড়া ওয়ারলেস স্টেশন এই তিনটি ছিল পাক বাহিনীর প্রধান আস্তানা। তিন দিক থেকে তিনটি দল তিন ঘাটির উপর আক্রমণের সিদ্ধান্ত হয়।

সুবেদার মোজাফ্ফরের নেতৃত্বে একদল ইপিআর আনসার পুলিশ বাহিনীর সদস্যগণ, জয় বাংলা বাহিনী সহ ছাত্র জনতা পুলিশ লাইন সংলগ্ন জজ সাহেবের বাড়ী ও আশে পাশে অবস্থান নেন।

ট্রাফিক মোড়ে রউপ চৌদুরির বাড়ী হতে থানা ও টেলিফোন এক্সচেঞ্জ অফিসে হানাদার বাহিনীর অবস্থানে আক্রমন করার জন্য জাহেদ রুমী, শামসুল হুদা সহ ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্রলীগের ছেলেরা এবং ২৫ মার্চ নদী পার হয়ে হরিপুরে আশ্রয় নেওয়া পুলিশ সদস্যগণ অবস্থান নেন।

কমলাপুরের অবস্থানরত ইপিআর বাহিনী আড়ুয়াপাড়া ওয়ারলেস অফিসের দক্ষিণপূর্ব ও পশ্চিম দিকে অবস্থান নেয়। নুর আলম জিকু, আবুল কাশেম, এমএ বারী সহ ছাত্র, জনতা ওয়ারলেস অফিসের দক্ষিণপূর্ব দিকে অবস্থান নেন। ক্যাপ্টেন আজম চৌধুরী ডিসি (ফুড) এর বাড়ীতে বসে যুদ্ধ পরিচালনা করতে থাকেন।

বাংলাদেশের মানচিত্র
বাংলাদেশের মানচিত্র

চুড়ান্ত আক্রমণ

ইপিআর বাহিনী সময়মত যথাস্থানে পৌছাতে না পারায় পরিকল্পনা একদিন পিছিয়ে ৩০শে মার্চ ভোর রাত্রে নির্ধারণ করা হয়। ৩০শে মার্চ ভোর ৪ টায় পরিকল্পনা মোতাবেক ভেড়ামারা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে কুষ্টিয়া শহরকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করার পর একটি ওপেনিং ফায়ারের সঙ্গে সঙ্গে চাদিক থেকে পাক সেনাদের উপর আক্রমণ করা হয়।

সামান্য রাইফেল, কয়েকটি এলএমজি আর অফুরন্ত মনোবল, দেশপ্রেম ও অদম্য সাহস নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জ্বিত পাক সেনাদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। হাজার হাজার মানুষ লাঠি, ফলা, সড়কি নিয়ে সমস্ত কুষ্টিয়া শহর ঘিরে জয় বাংলা ধ্বনি দিতে থাকে। অতকৃত হামলা ও জনতার মূহমূহ স্লোগানে পাকিস্তানী হানাদারদের মনোবল ভেঙ্গে পড়ে। মুক্তিবাহিনীর আক্রমনের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই পুলিশ লাইন, ওয়ারলেস অফিস ও থানা মুক্তিযোদ্ধাদের দখলে আসে।

পাকিস্তানীরা চিন্তাও করতে পারেনি এত দ্রুত তার বাঙ্গালীদের দ্বারা আক্রমনিত হবেন। এই যুদ্ধে বহু হানাদার সেনা নিহত হয়। অফিসার সহ বেশ কিছু সৈন্য জেলা স্কুলে আশ্রয় নেয়। শুধু জেলা স্কুল বাদে কুষ্টিয়া শহর শত্রুমুক্ত হয়। মুক্তি বাহিনী জেলা স্কুল অবরোধ করে রাখে। পাকিস্তানী সেনারা যশোর ক্যান্টরমেন্টের সাহায্য চেয়ে ব্যর্থ হয়। ৩১ মার্চ একটি বিমান এসে জেলা স্কুলের আশে পাশে এইচ.এম.জির গুলি বর্ষণ করে চলে যায়।

মুক্তিযুদ্ধে কুষ্টিয়া জেলা ১ম পর্ব

পাকিস্থানীদের কুষ্টিয়া হতে পালায়ন

১লা এপ্রিল ভোরে সকল অফিসার সহ ৪০ হতে ৫০ জন সেনা একটি ডজ গাড়ি ও দুইটি জীপে চড়ে গাড়ির লাইট বন্ধ রেখে পালাতে চেষ্টা করে। গেট থেকে বের হওয়া মাত্র ইপিআরদের ফাঁদে পড়ে প্রথম সবাই হতাহত হয়। দুটি গাড়ি পলিয়ে ঝিনাইদহ রোডে গাড়াগঞ্জ ড্রিজের মুখে ইপিআরদের পূর্ব নির্ধারিত পাতা ফাঁদে পড়ে। একটি জীপ গর্তে পড়ে যায়। বাঙ্গালীদের কবলে পড়ে মেজর সয়েব সহ অন্যরা আহত ও নিহত হয়। ডজ গাড়িটি থামিয়ে অন্যরা আশাপাশের গ্রামে পালিয়ে যেতে যেষ্টা করলে লেঃ আতাউল্লাহ শাহ সহ অন্য সেনারা গ্রামবাসীর ফলা, সড়কি, রামদার আঘাতে আহত ও নিহত হয়।

বাংলাদেশের প্রথম শত্রুমুক্ত জেলা কুষ্টিয়া

১লা এপ্রিল বাংলাদেশের মধ্যে কুষ্টিয়া জেলা প্রথম শত্রুমুক্ত হয়। ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত সীমান্তবর্তি এই জেলাটি শত্রুমুক্ত থাকে। ৩রা এপ্রিল লন্ডন টাইমসে ফলাও করে কুষ্টিয়ার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয়ের কথা ছাপা হয় যা বিশ্ববিবেককে বাংলাদেশের প্রতি সহানুভূতিশীল করে তোলে।

শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা

কুষ্টিয়া জেলাকে প্রথম শত্রুমুক্ত করার এই যুদ্ধে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ৬ জনের নাম পরিচয় পাওয়া যায়
১। হামেদ আলী, পিতা- ওমেদ আলী, গ্রাম- দুধকুমড়া, কুমারখালী, কুষ্টিয়া।
২। দেলোয়ার হোসেন, পিতা-আলম হোসেন, গ্রাম ও উপজেলা মিরপুর, কুষ্টিয়া।
৩। খন্দকার আব্দুর রশিদ, পিতা- আব্দুর রহমান, গ্রাম- বামন পাড়া, মেহেরপুর।
৪। ফজলুর রহমান, পিতা- নাসির উদ্দিন, গ্রাম- মেহেরপুর।
৫। আশরাফ আলী খান, পিতা- হাছেন আলী খান, গ্রাম- মশান, মিরপুর, কুষ্টিয়া।
৬। গোলাম শেখ, পিতা- নজীর শেখ, গ্রাম- মশান, মিরপুর, কুষ্টিয়া।

এছাড়া আব্দুল মোমেন, পিতা আব্দুল করিম, কোটপাড়া, কুষ্টিয়া, আনসার আলী, পিতা আজগর আলী, গ্রাম চাপাইগাছি, কুষ্টিয়া সহ আরো অনেকে আহত হন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top